Anirban Bhattacharya Viral Song: বাংলার সাংস্কৃতিক পরিসরে নতুন ঝড় তুলেছে অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যের ব্যান্ড ‘হুলিগানিজম’। সম্প্রতি তাদের এক রাজনৈতিক স্যাটায়ার গান সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে। সেই গানে ব্যঙ্গ করা হয়েছে বাংলার তিন পরিচিত রাজনৈতিক নেতাকে—তৃণমূলের কুণাল ঘোষ, বিজেপির দিলীপ ঘোষ এবং সিপিএমের শতরূপ ঘোষ।
সাধারণত রাজনৈতিক ব্যঙ্গকে নেতারা সহজভাবে নেন না। কিন্তু এই গানের প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ যেভাবে প্রতিক্রিয়া জানালেন, তা আলাদা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
গানের মূল বক্তব্য Anirban Bhattacharya Viral Song
গানটি র্যাপ ধাঁচে তৈরি করা হয়েছে, যেখানে বাংলার তিন ঘোষকে নিয়ে তির্যক মন্তব্য উঠে আসে।
- কুণাল ঘোষকে নিয়ে বলা হয়েছে, “রেগে যাবে কুণাল ঘোষ!”—অর্থাৎ যেকোনও প্রশ্ন করলে তাঁর ক্ষোভ প্রকাশের অভ্যাসকে মজা করে টেনে আনা হয়েছে।
- দিলীপ ঘোষের সেই বহুল আলোচিত “গরুর দুধে সোনা” মন্তব্যকেও ব্যঙ্গের আকারে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
- আর শতরূপ ঘোষকে নিয়ে খোঁচা দেওয়া হয়েছে তাঁর গাড়ি কেনা নিয়ে, যেখানে বিপ্লবী চরিত্রের সঙ্গে বিলাসিতার অমিলকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে।
এই তিনটি অংশই দর্শকের মধ্যে হাসির খোরাক জুগিয়েছে।
কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া
যেখানে রাজনৈতিক নেতারা ব্যঙ্গ শুনলেই রেগে যান, সেখানে কুণাল ঘোষ দেখালেন অন্য দৃষ্টিভঙ্গি। তিনি নিজে গানটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে বলেছেন—
👉 “ভালো লেগেছে, মজা পেয়েছি। একটু তির্যক আছে, কিন্তু তাতে ক্ষতি নেই। আমি এসব ব্যঙ্গ রসিকতা নিতে পারি।”
তাঁর এই সহজ-সরল প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে, ব্যঙ্গকে যদি খেলোভাবে নেওয়া যায়, তাহলে সেটি রাজনীতিকে আরও মানবিক করে তোলে।
দর্শকের প্রতিক্রিয়া
গান প্রকাশের পরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ যেমন মজা পেয়েছেন, তেমনই রাজনৈতিক মহলেও আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এই ধরনের স্যাটায়ার আসলে রাজনৈতিক পরিবেশকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
ব্যঙ্গ আর রাজনীতি
রাজনীতিতে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ নতুন কিছু নয়। কিন্তু বাংলার বর্তমান সময়ে, যেখানে বিতর্ক, অস্থিরতা আর বিভাজনের রাজনীতি প্রবল—সেখানে অনির্বাণ ভট্টাচার্যের এই সাহসী প্রয়াস একদিকে বিনোদন দিয়েছে, অন্যদিকে মানুষকে ভেবেও তুলছে।
স্যাটায়ারের উদ্দেশ্য কাউকে আঘাত করা নয়, বরং সমাজের অসঙ্গতিগুলোকে হাসির মাধ্যমে চোখে আনা। এই গান সেটাই করেছে।
অনির্বাণ ভট্টাচার্যের ব্যান্ড হুলিগানিজম প্রমাণ করেছে, রাজনৈতিক স্যাটায়ার এখনও দর্শকদের মন জয় করতে পারে। কুণাল ঘোষের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখাল, ব্যঙ্গকে গ্রহণ করার পরিপক্কতা থাকলে রাজনৈতিক সংস্কৃতি আরও উন্নত হতে পারে।
বাংলা রাজনীতির প্রেক্ষাপটে এই গান নিঃসন্দেহে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।